Header Ads Widget

Responsive Advertisement

তারেক রহমান: নির্বাচন দেরিতে হলে স্বৈরাচারী শক্তি ষড়যন্ত্রের সুযোগ পাবে

 


তারেক রহমান: নির্বাচন দেরিতে হলে স্বৈরাচারী সরকার ষড়যন্ত্রের সুযোগ পাবে

নির্বাচন বিলম্বিত হলে পতিত স্বৈরাচারী সরকার ও তাদের দোসররা ষড়যন্ত্রের আরও বেশি সুযোগ পাবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

রবিবার বিকেলে রাজধানীর কদমতলীতে রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফা নিয়ে আয়োজিত কর্মশালায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, জনগণের কাছে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই। স্থানীয় বা জাতীয়, যে পর্যায়েরই হোক না কেন, নির্বাচনের মাধ্যমেই দেশকে ধ্বংসের পথ থেকে ফিরিয়ে আনা সম্ভব। গত ১৫ বছরে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করা হয়েছে, মানুষের সম্পদ লুট করে বিদেশে পাচার করা হয়েছে। জবাবদিহিতা না থাকায় এসব অনিয়ম সম্ভব হয়েছে।

তারেক রহমান আরও বলেন, আমরা প্রায়ই বিভিন্ন উন্নত দেশের উদাহরণ দিই—সেসব দেশের শাসনব্যবস্থা ভালো, প্রশাসন কার্যকর। এর মূল কারণ হলো জবাবদিহিতা। সেখানে নিয়মিত নির্বাচন হয়, জনগণের মতামতের প্রতিফলন ঘটে। তিনি বলেন, "একটি নির্দিষ্ট সময় পর নির্বাচন হতে হবে, তবেই শাসনব্যবস্থা টিকে থাকবে।"

রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে তিনি মনে করেন, সমাজ বা রাষ্ট্রে জবাবদিহিতা ছাড়া কোনো কিছু টেকসই হয় না। এমনকি পারিবারিক জীবনেও নিয়মকানুন মেনে চলতে হয়।

তারেক রহমান বলেন, "যদি জনগণের ভোটে ওয়ার্ড কমিশনার বা মেয়র নির্বাচিত হতেন, তাহলে তারা জনগণের সেবা করতে বাধ্য থাকতেন। কারণ তারা জানতেন, জনগণের সমস্যার সমাধান না করলে পরবর্তী নির্বাচনে পরাজিত হবেন।"

তিনি আরও উল্লেখ করেন, ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে বিএনপির বহু কর্মী শহীদ হয়েছেন, গুম-খুনের শিকার হয়েছেন, লাখ লাখ মানুষ নির্যাতিত হয়েছেন।

দ্রুত নির্বাচন দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, "সংস্কারের নামে নির্বাচন প্রক্রিয়া দীর্ঘায়িত হলে ফ্যাসিস্ট সরকার আবার জনগণের কাঁধে চেপে বসবে। বিশিষ্টজনদের প্রতি অনুরোধ, আলোচনা দীর্ঘায়িত না করে সংস্কার দ্রুত বাস্তবায়ন করুন। বিএনপি যে ৩১ দফা প্রস্তাব দিয়েছে এবং সংস্কার কমিশন যে প্রস্তাব এনেছে, তা কার্যকর করতে হলে অবিলম্বে নির্বাচন প্রয়োজন।